আজ || শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম :
  জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদ স্মরণে খুলনায় বিএনপির মৌন মিছিল – তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তি সহ্য করা হবেনা       সাকিব রায়হানের কবর জিয়ারত; পরিবারের পাশে বিভাগীয় কমিশনার       মীর মুগ্ধ’র শাহাদাত বার্ষিকী – শোকে শ্রদ্ধায় কৃতি শিক্ষার্থীকে স্মরণ করলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়       যুবদল নেতা মাহবুব হত্যা : খুলনা ও সাতক্ষীরা থেকে আরও দু’জন গ্রেফতার       খুলনায় জামায়াতের বিক্ষোভ – দেশ এখনও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি       পরিস্থিতির জন্য অন্তবর্তী সরকারের নির্লিপ্ততা দায়ী : খুলনা যুবদল       বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে শৈলমারী গেটের পলি অপসারণ শুরু       কুয়েট চালুর দাবিতে ইউজিসি’তে স্মারকলিপি দিয়েছে গার্ডিয়ান ফোরাম       ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে খুলনা ছেড়েছেন এনসিপি নেতারা       আ.লীগ জঙ্গী সংগঠন, গোপালগঞ্জ ফ্যাসিস্টদের আশ্রয় কেন্দ্র; অভিযুক্তদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে    
 


রেলস্টেশন নির্মাণ: লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন।

বিগত আওয়ামী সরকারের সময় রেলস্টেশন ও লাইন নির্মাণ ছিল যেন টাকা উড়ানোর প্রজেক্ট। আর টাকা? সেটা দেয়ার জন্য তো গৌরী সেন ছিলোই।
যে বিপুল অর্থ অপচয় করে গুরুত্বহীন যায়গায় বিলাসবহুল স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে, সে টাকা দিয়ে রেলের অনেক আধুনিক কোচ ও ইঞ্জিন কেনা সম্ভব ছিল। সম্ভব ছিল বিমানবন্দর স্টেশনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে আধুনিক ও যাত্রী সেবার মান বাড়ানো সম্ভব ছিল।
কালিয়াকৈর স্টেশন নির্মাণে ব্যয় হয় ৫৮ কোটি টাকা (৮ বছর আগে)। বলা হয়েছিল এই স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার যাত্রী উঠানামা করবে। আয় হবে ১ কোটি টাকা। এখন প্রতিদিন গড়ে ৪৭ জন যাত্রী উঠানামা করে। বাৎসরিক ব্যয় ৩০ লক্ষ টাকা আর আয় হচ্ছে ৯ লক্ষ টাকা।

বিগত সরকারের ১৫ বছরে দেশের ৪৮৪টি স্টেশনের মধ্যে ১১৮ টি স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয় রেলকোচ, ইঞ্জিন ও লোক বলের অভাবে।
অন্যদিকে ১৪৬টি নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হয় যেখানে ট্রেন থামা বা যাত্রী উঠানামা করেনা। এছাড়া ২৩৭ টি স্টেশন মেরামত ও উন্নয়ন কাজ করা হয়। এসবের ব্যয়ভার বিদেশি ঋণের টাকায় বহন করা হয়।
কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন নির্মাণে ব্যয় হয় ২১৫ কোটি টাকা। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জন্য আইকনিক স্টেশনের প্রয়োজন থাকলেও মূল শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় যাত্রীরা সকল সুবিধা ভোগ করতে পারছেনা। আবার দোহাজারি হতে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কি:মি: রেলপথ ও ৯ টি স্টেশন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা যা ছিল অনেক বেশী ব্যয়বহুল।
ঢাকা হতে মাওয়া হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন, ১৪ টি স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামো মিলে প্রকল্প ব্যয় প্রায়৪০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে ভাঙ্গায় একটি আইকনিক স্টেশনের জন্য ব্যয় হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।
শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাইয়ের দুই ছেলে লিটন চৌধুরী ও নিক্সন চৌধুরীর চাপের মুখে এই অপব্যয় করা হয় যেখানে কোন ট্রেন থামেনা।
ঈশ্বরদী হতে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রেললাইন ও রূপপুর স্টেশন নির্মাণে ব্যয় হয় ৩৩৬ কোটি টাকা।
বিগত আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরে এবং ” বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী ” উদযাপন উপলক্ষ্যে পুরাতন রেললাইন সংস্কার, স্টেশন নির্মাণ ও মেরামত বাবদ ৭১ হাজার কোটি টাকার বেশী ব্যয় ধরা হয় যার বড় একটা অংশ চুরি করা হয়।
বিদেশি ঋণের এসব টাকা দেশবাসীকেই পরিশোধ করতে হবে।


Top